শীতকাল মানেই একটু বাড়তি যত্নের সময়। প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুরা ঠান্ডায় বেশি সংবেদনশীল, তাই এই মৌসুমে তাদের যত্ন নিতে হয় বিশেষভাবে। ঠান্ডা থেকে সুরক্ষা, স্বাস্থ্যকর খাবার, ত্বকের যত্ন—সবকিছুতেই দরকার সচেতনতা ও ভালোবাসা।
পুষ্টিকর ও গরম খাবার দিন
শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়, তাই শিশুকে এমন খাবার দিন যা শরীর গরম রাখে। গরম দুধ, স্যুপ, ডিম, মাছ, ডাল, খেজুর, এবং মৌসুমি সবজি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
চকলেট বা ফ্রোজেন খাবার কম দিন, কারণ এগুলো ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি বাড়ায়।
পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নিশ্চিত করুন
ঠান্ডা আবহাওয়ায় অনেক সময় শিশুরা রাতে ঘুমাতে চায় না বা সকালে ওঠতে কষ্ট হয়। তাই তাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করুন। গরম পানিতে স্নান ও ঘুমানোর আগে হালকা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে দিলে ঘুম আরামদায়ক হয়।
ত্বকের যত্নে কোমলতা
শীতকালে শিশুর ত্বক সহজেই শুষ্ক হয়ে যায়। প্রতিদিন হালকা ময়েশ্চারাইজার বা বেবি অয়েল ব্যবহার করুন। গোসলের পানিতে খুব গরম পানি ব্যবহার না করে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা ভালো। এতে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয় না।
আরামদায়ক ও উষ্ণ পোশাক বেছে নিন
শিশুর জন্য পোশাক বাছাইয়ের সময় সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে আরাম ও সুরক্ষায়। পোশাক যেন গরম রাখে, আবার বাতাস চলাচল করতে পারে এমন হয়।
ফ্লিস বা কটন-মিশ্র ফ্যাব্রিক সবচেয়ে উপযুক্ত।
এছাড়া শীতের সকালের বাইরে যাওয়া বা বিকেলের খেলাধুলার সময় শিশুর জন্য হালকা কিন্তু উষ্ণ জ্যাকেট খুব দরকারি। এমন জ্যাকেটই দিন, যা বাচ্চারা নিজেরাই পরতে পারে, ভারী নয়, আর মুভমেন্টে বাঁধা দেয় না।
নতুন মৌসুমে স্টাইল ও আরামের মেলবন্ধন
এবারের শীতে ছোটদের জন্য বাজারে এসেছে রঙিন, আরামদায়ক ও হালকা ওজনের নানা ডিজাইনের জ্যাকেট।
এগুলো শুধু শীত থেকে সুরক্ষা দেয় না, বরং বাচ্চাদের স্টাইলিশ লুকও দেয়।
যদি আপনি চান আপনার সন্তানের পোশাক হোক আরামদায়ক এবং ফ্যাশনেবল—তাহলে স্থানীয়ভাবে তৈরি ভালো মানের জ্যাকেট বেছে নিতে পারেন। এই ধরনের পোশাক শিশুর স্কিনের জন্য নিরাপদ এবং টেকসইও হয়।
শীতের সময় শিশুর যত্ন মানে শুধু উষ্ণ পোশাক নয়—বরং পুরো জীবনধারার যত্ন।
পর্যাপ্ত ঘুম, পুষ্টিকর খাবার, ত্বকের কোমলতা এবং আরামদায়ক পোশাক—এই চারটি দিক মেনে চললে আপনার সন্তান থাকবে সুস্থ, উচ্ছল ও হাসিখুশি।
Selim Azad
Managing Director & Fashion Designer, Solivelle.
শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গি ও বাস্তব ব্যবহারিক চিন্তার মিশেলে তিনি তৈরি করেন এমন পোশাক, যা একই সঙ্গে আরামদায়ক ও নান্দনিক। শিশুদের পোশাক থেকে শুরু করে ফ্যাশন ডিজাইনে প্রতিটি কাজে তিনি বিশ্বাস করেন – “স্টাইল মানেই আরাম ও যত্নের নিখুঁত ভারসাম্য।”
